অনুমোদনহীন কিন্ডারগার্টেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টাস্কফোর্স

অনুমোদনহীন কিন্ডারগার্টেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টাস্কফোর্স

অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত দেশের নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে সুপারিশ দিতে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা—এই তিন পর্যায়ে ‘টাস্কফোর্স কমিটি’ গঠন করেছে মন্ত্রণালয়।

অনুমোদনহীন কিন্ডারগার্টেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টাস্কফোর্স

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব হ‌ুমায়ুন খালিদ আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আজই এই টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে টাস্কফোর্স কমিটি এক মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেবে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে কেউ আর অনুমোদনহীনভাবে চলতে পারবে না। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হলে ২০১১ সালে করা নিবন্ধন বিধিমালা মেনে চলতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সারা দেশে কত কিন্ডারগার্টেন আছে, তার হিসাব সরকারের কাছেও নেই। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে ২০১১ সালে বিভিন্ন ধরনের শর্ত দিয়ে নিবন্ধন বিধিমালা জারি করে মন্ত্রণালয়। সরকার আশা করেছিল, এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করবে। কিন্তু পরে মন্ত্রণালয় জানতে পারে, সারা দেশে এ ধরনের বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ফি ও পাঠ্যবইয়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধন বিধিমালার নিয়মকানুন মানা হচ্ছে না। অধিকাংশই নিবন্ধন না করেই কার্যক্রম চালাচ্ছে। পাঠ্য তালিকার বাইরে বইয়ের বোঝার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে। এমন অবস্থায় সরকার টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিভাগীয় বা মহানগর এলাকার টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বিভাগীয় কমিশনারকে। এর সদস্য হবেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় উপপরিচালক (সদস্যসচিব)। এই কমিটি বিভাগীয় ও মহানগর এলাকায় বিদ্যমান সব ধরনের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন) প্রতিষ্ঠার অনুমতি বা নিবন্ধন–সংক্রান্ত কাগজপত্র, ফি, ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত, বিদ্যালয়ের পাঠদান ও পাঠ্যপুস্তক অন্তর্ভুক্তি যাচাই করবে। প্রয়োজনে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সকে পরামর্শ বা নির্দেশনা দেবে। এসব কাজ সম্পন্ন করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ এক মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি করা হয়েছে জেলা প্রশাসককে। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে পুলিশ সুপারও থাকবেন। এই টাস্কফোর্স সংশ্লিষ্ট জেলা বা পৌর এলাকার বিদ্যালয়ের কার্যক্রম যাচাই করবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বাধীন উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি উপজেলা বা পৌর এলাকায় গড়ে ওঠা এ ধরনের বিদ্যালয়ের তথ্য যাচাই করবে। এই দুই কমিটিকেও এক মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment